ঘুর্নিঝড়ে চাঁদপুরে ৪টি ট্রলার ডুবি ॥ ২ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি

This is the post excerpt.

images_22577
ঘুর্নিঝড়ে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে ৪ টি ট্রলার ডুবে গেছে । ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে চাউল,ডাউলসহ প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধ্যায় পুরাণবাজার ভুইয়ারঘাট এলাকাস্থ ডাকাতিয়া নদীতে । তবে এ ঘটনায় কেউ নিখোজ হয়নি । এ রিপোট লেখা পর্যন্ত কোন ট্রলারই উদ্ধার করা হয়নি । দূঘটনা কবলিত ট্রলার গুলো রোববার সকালে ফরিদপুরের সিএমবি ঘাট থেকে প্রায় ৭ হাজার বস্তা চাউল,৩ হাজার বস্তা মুসরি ডাল সহ অন্যন্য ডাল , ভুষা মালামাল নিয়ে বিকেলে পুরানবাজার ভুইয়ার ঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। সন্ধায় ঘুর্নিঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারগুলো তলিয়ে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো ফরিদপুরের মঞ্জু মাঝির এমভি ভাটিলক্ষীপুর, নুরুজ্জামান মাঝির আল মিরাজ, কুদ্দুস মাঝির সিলেটি ট্রলার ও চাঁদপুরের আনিস-স্বপন পরিবহন । ডাকাতিয়া নদীতে তলিয়ে যাওয়া এমভি ভাটিলক্ষীপুরে মাঝি মঞ্জু মাঝি জানায় তারা ২৪’শ বস্তা মুসরি ডাউল ওচাউল নিয়ে ভুইয়ার ঘাট এলাকায় আসে । সন্ধায় ঘুনিঝর্ড়ে একসাথে ভুইয়ার ঘাট ও মৌলভীঘাটে থাকা মালামাল বোঝাই ৪ টি ট্রলার ডুবে যায় । তারা পুরানাবাজার এলাকার সুভাষ চন্দ্র রায়,খাদ্য ভ্রান্ডার , মিনারা ট্রেডাস ,শুকতারা, সবুজ পোদ্দার ,রায় ট্রেডাস সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মালামাল ফরিদপুরের সিএমবি ঘাট থেকে ষ্টীলবর্ডি ট্রলারে চাঁদপুরে নিয়ে আসে । ব্যবসায়ী সবুজ পোদ্দার জানান, তাদের প্রায় ৪বস্তা চাউল ও ডাউল নিয়ে এমভি ভাটি লক্ষীপুর ও সিলেটি ট্রলারে মাল চাঁদপুরের পুরানবাজার ভুইয়ার ঘাট এলাকায় আসে । বিকেল হওয়ায় পরের দিন মালামাল নামাবে বলে শ্রমিকরা চলে যায়। কিন্তু সন্ধায় হঠ্যাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ে ট্রলার গুলো যুবে যায় । এতে করে আমাদের ব্যবসায়ীদের প্রায় ২ কোটি টাকার উপর মালামাল ক্ষতি হয়েছে । সোমবার ভোরে আমরা মালামাল ও ট্রলার উদ্ধারের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করেছি

Author: thedailyhaimchar

ONLINE NEWSPAPER

One thought on “ঘুর্নিঝড়ে চাঁদপুরে ৪টি ট্রলার ডুবি ॥ ২ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি”

  1. মে দিবসে শ্রমজীবীদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
    ঢাকা: শ্রমিকের অধিকার আদায়ের রক্তস্নাত ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের দিন মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
    বিশ্বের নানা দেশের মতো বাংলাদেশেও ১ মে রবিবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস তথা মে দিবস পালিত হবে। দিনটি সাধারণ ছুটির দিন।
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে মহান মে দিবসকে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে এক ‘অনন্য গৌরবময়’ দিন অভিহিত করে ১৩০ বছর আগের সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শ্রমিক সংগঠনের বিজয় মুহূর্তকে স্মরণ করেন।
    বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজার অর্থনীতির এই সময়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিতকরণসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের ওপর বাণীতে গুরুত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।
    আবদুল হামিদ বলেন, এজন্য উৎপাদনশীলতা ও শ্রমিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ন্যায্য মজুরি, শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণসহ সুস্থ শিল্পসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।
    শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের জন্য শোষণমুক্ত, মর্যাদাসম্পন্ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে তাদের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়ন, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ এর সুফল পাচ্ছেন।
    সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে শিল্পোদ্যোক্তা, মালিক ও শ্রমিকের সম্মিলিত প্রয়াস আশা করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
    ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের ন্যায্য মূল্য এবং আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণ করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে।
    আন্দোলন দমনে সেদিন শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। ১০ শ্রমিকের আত্মত্যাগে গড়ে ওঠে বিক্ষোভ। প্রবল জনমতের মুখে যুক্তরাষ্ট্র সরকার শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়।
    ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর শ্রমিকদের সংগ্রামী ঐক্যের অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস ঘোষণা করা হয়।
    ১৮৯০ সাল থেকে সারাবিশ্বে শ্রমিক সংহতির আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে মে মাসের ১ তারিখে ‘মে দিবস’ পালিত হচ্ছে।
    দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শিকাগো শহরে আত্মাহুতি দেয়া শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন জানিয়ে বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
    প্রধানমন্ত্রী পোশাক শিল্পসহ ৩৮টি শিল্পখাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করাসহ শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করার সঙ্গে দেশে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়নসহ তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।

    Like

Leave a comment